নারী তুমি সম্রাজ্ঞী হও!


নারী তুমি সম্রাজ্ঞী হও, সনাতন ধর্ম
নারী তুমি সম্রাজ্ঞী হও!
বেদের বাণী

❏ সম্রাজ্ঞী —
যথা সিন্ধুর্ণদীনাং সাম্রাজ্যং সুষুবে বৃষা।
এবা ত্বং সম্রাজ্ঞ্যেধি পত্যুরস্তং পরেত্য।।
➢ অথর্ব্ববেদ ১৪/১/৪৩।
বঙ্গানুবাদঃ- হে বধূ! যেমন বলবান সমুদ্র নদী সমূহের উপর সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে তুমিও তেমন পতিগৃহে গিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাক।

❏ পতিগৃহ —
সম্রাজ্ঞ্যেধি শ্বশুরেষু সম্রাজ্ঞ্যুত দেবৃষু।
ননান্দুঃ সম্রাজ্ঞ্যেধি সম্রাজ্ঞ্যুত শ্বশ্ব্রাঃ।।
➢ অথর্ব্ববেদ ১৪/১/৪৪।
বঙ্গানুবাদঃ- শ্বশুরদের মধ্যে এবং দেবরদের মধ্যে, ননদ ও শাশুড়ীদের সঙ্গে মিলিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাক।

❏ সুমঙ্গলী —
সুমঙ্গলী প্রতরণী গৃহাণাং সুশেবাপত্যে শ্বশুরায় শংভুঃ।
স্যোনা শ্বশ্ব্রৈ প্র গৃহান্ বিশেমান্।।
➢ অথর্ব্ববেদ ১৪/২/২৬।
বঙ্গানুবাদঃ- হে বধু! কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্দ্ধনকারিণী, পতিসেবা পরায়ণা, শ্বশুরের শান্তিদায়িনী, শ্বাশুড়ীর আনন্দ দায়িনী! গৃহকার্যে নিপূণা হও।

❏ অধিকার —
সম্যাজ্ঞী শ্বশুরে ভব সম্রাজ্ঞী শ্বশ্ব্রাং ভব।
ননান্দরি সম্রাজ্ঞী ভব সম্রাজ্ঞী অধি দেবৃষু।।
➢ ঋগ্বেদ ১০/৮৫/৪৬।
বঙ্গানুবাদঃ- হে স্ত্রী! শ্বশুরের নিকট সম্রাজ্ঞী হও, শাশুড়ীর নিকট সম্রাজ্ঞী হও, ননন্দার নিকট সম্রাজ্ঞী হও এবং দেবরদের নিকট সম্রাজ্ঞীর অধিকার প্রাপ্ত হও।

❏ দম্পতি —
ইহৈব স্তং মা বি যৌষ্টং বিশ্বমায়ুর্ব্যশ্যতম্।
ক্রীড়ন্তৌ পুত্রৈর্নপ্তৃভির্মোদমানৌ স্বস্তকৌ।।
➢ অথর্ব্ববেদ ১৪/১/২২।
বঙ্গানুবাদঃ- হে দম্পতী! তোমরা উভয়ে একসঙ্গেই থাক, পৃথক হইও না। নিজের গহে পুত্র ও পৌত্রদের সঙ্গে খেলিয়া আনন্দ করিয়া পূর্ণ আয়ুভোগ কর।

❏ দাম্পত্য —
স্যোনাদ্যোনেরধি বুধ্যমানৌ হসামুদৌ মহসা মোদমানৌ।
সুগু সুপুত্রৌ সুগৃহৌ তরথো জীবাবুষসো বিভাতীঃ।।
➢ অথর্ব্ববেদ ১৪/২/৪৩।
বঙ্গানুবাদঃ- হে দম্পতী! শান্তি-পূর্ণ গৃহে জ্ঞান লাভ করিয়া হাস্য ও আনন্দ কর। সচ্চরিত্র পুত্র লাভ করিয়া, উত্তম গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া প্রেমানন্দে জীবনকে সার্থক কর এবং শান্তিতে জীবন অতিবাহিত কর।

❏ যজ্ঞাধিকার —
যা দম্পতী সমনসা সুনুত আ চ ধাবতঃ।
দেবাসো নিত্যয়াহশিরা।
➢ ঋগ্বেদ ৮/৩১/৫।
বঙ্গানুবাদঃ- হে বিদ্ধানগণ! যে পত্নী ও পতি এক সঙ্গে একমনে যজ্ঞ করে, উপাসনা দ্বারা যাহাদের মন পরমাত্মার দিকে ধাবমান হয় তাহারা নিত্য পরমাত্মার আশ্রয়েই সব কার্য করে।

❏ বিবাহ —
ব্রহ্মচর্যেন কন্যা যুবানং বিন্দতে পতিম্।
অনডৃবান্ ব্রহ্মচর্যেনাশ্বো ঘাসং জিগীর্ষতি।।
➢ অথর্ববেদ ১১/৫/১৮।
বঙ্গানুবাদঃ- ব্রহ্মচর্য অবলম্বন করিবার পর কুমারী কন্যা যুবা পতিকে লাভ করিবে। বলবান ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিই ভোগ্য পদার্থকে সম্যক ভোগ করিতে পারে।

❏ বিধবা বিবাহ —
ইয়ং নারী পতি লোকং বৃণানা নিপদ্যত উপত্ব্য মর্ন্ত্য প্রেতম্।
ধর্মং পুরাণমনু পালয়ন্তী তস্ম্যৈ প্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।।
➢ অথর্ব্ববেদ ১৮/৩/১
বঙ্গানুবাদঃ- হে মনুষ্য! এই স্ত্রী পুনর্বিবাহের আকাঙ্ক্ষা করিয়া মৃত পতির পরে তোমার নিকট আসিয়াছে। সে সনাতন ধর্ম্মের পালয়িএী। তাহার জন্য ইহলোক সন্তান ও ধন দান কর।

❏ বিধবা বিবাহ —
উদীষর্ব নার্ষ্যভি জীবলোকং গতাসুমেতহমুপশেষ এহি।
হস্তাগ্যাভস্য দিধিষোস্তবেদং পত্যুর্জনিত্বমভি সংবভূব।।
➢ অথর্ব্ববেদ ১৮/৩/২
বঙ্গানুবাদঃ- হে নারী! তুমি এই মৃত পতির পার্শ্বে কেন শয়ন করিয়া আছ। ওখান হইতে উঠিয়া জীবিত মানুষ্যদের নিকটে এখানে এস। তোমার পাণি গ্রহণকারী পতির সঙ্গে সেই পত্নীত্ব টুকুই জন্মিল।

যথেমাং বাচং কল্যাণীমাবদানি জনেভ্যঃ
ব্রহ্মরাজন্যাভ্যাং শূদ্রায় চার্য্যায় চ স্বায় চারণায়।।
প্রিয়ো দেবানাং দক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ ,ভূয়াসময়ং মে কামঃ সমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু ।।
➢ যজুর্বেদ ২৬/২
বঙ্গানুবাদঃ- হে মনুষ্যগন আমি যেরূপে ব্রাক্ষণ, ক্ষত্রিয় ,বৈশ্য ,শূদ্র , স্ত্রীলোক এবং অন্যান্য সকল জনগনকে এই কল্যানদায়িনী পবিত্র বেদবানী বলিতেছি, তোমরাও সেই রূপ কর। যেমন বেদবানীর উপদেশ করিয়া আমি বিদ্বানদের প্রিয় হয়েছি ,তোমরাও সেইরুপ হও। আমার ইচ্ছা বেদ বিদ্যা প্রচার হোক। এর দ্বারা সকলে মোক্ষ এবং সুখ লাভ করুক ।

● ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।।

No comments

Theme images by LordRunar. Powered by Blogger.