আরব সাম্রাজ্যবাদীদের কৌশল

আরব সাম্রাজ্যবাদীদের কৌশল

তাঁদের কৌশল আমাদের বুঝতে হবে।
নয়তো আমাদের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।
কি সেই কৌশল?

মুসলিমরা যখন কোন অঞ্চলে সংখ্যালঘু থাকে, তখন তারা সেখানে মানবতা, সবার সমান অধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, সেক্যুলারিজম, গণতন্ত্রের কথা বলে; বাম রাজনীতি করে। আর কোরানের “মাক্কী সূরা”র আয়াত গুলো প্রচার করে, শান্তির কথা বলে। তাঁরা তখন থাকে উদার: “তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে”, “সবার ধর্ম সমান”, “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এসব কথা বলে। হিন্দু ছেলে/মেয়ে দের সামনে উদার কথা বলে, তাদেরকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করে। সেই সাথে থাকে একাধিক বিবাহ এবং অধিক সংখ্যায় সন্তান উৎপাদন করা। তখন তাদের একটাই লক্ষ্য থাকে অতি দ্রুত মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা। এভাবে নানা অপচেষ্টার মাধ্যমে যখন সেই অঞ্চলে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তারপর শুরু হয় তাদের আসল খেলা।

ধরুন! মুসলমানদের জনসংখ্যা যদি কোন অঞ্চলে ৩০% হয়, তখন মুসলমানদের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা মানে মাদ্রাসা চালু করতে বলে। বাম-মার্ক্সবাদী হিন্দুরা তখন মুসলমানরা সংখ্যালঘু এই দোহায় দিয়ে, সরকার থেকে, তাদেরকে নানা রকম অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ানোর জন্য চরমভাবে চেষ্টা করে। তারপর, যখন মুসলমানদের সংখ্যা ৪০% হয়, তখন মুসলমানদের জন্য আলাদা শরীয়া আইন, আদালত, চালু করতে বলে। বামরা তখন ভোট ব্যাংক রাজনীতি করে। যখন মুসলমানদের সংখ্যা ৫০% হয় তখন তারা ভোট ব্যাংকের মাধ্যমে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে। এবার আসতে আসতে জিহাদের কথা বলে। অবশ্য জিহাদের কথা তার আগে থেকেই বলা শুরু করে দেয়। মুসলমান প্রধান এলাকায় অমুসলিমদের উৎসব যেমন দূর্গাপূজা, রাম নবমী ইত্যাদি পালনে নিষেদাজ্ঞা দেয়। তারপর কোন প্রকার বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষেধ করে। উদাহরণ শরুপ্: বর্তমান ভারতের মুসলিম প্রধান এলাকা গুলোতে হিন্দুরা দূর্গাপূজা করতে পারে না। রাম নবমী উদযাপন করতে পারে না। তারপর, তাদের জনসংখ্যা ৫০% থেকে ৬০% বা তার অধিক হয় এবার প্রকাশ্যে জিহাদের কথা বলে। কাফের, মুশরিকদের কতল করার কথা বলে। শুরু হয় কোরানের “মাদানী সূরার” মানে জিহাদের আয়াতের প্রয়োগ। এবার মাঝে মাঝে ইসলাম অবমাননা করেছে এমন গুজব ছড়িয়ে; অমুসলিমদের ঘর-বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, মন্দিরে হামলা করে লুটপাট চলে, আগুনে জ্বালিয়ে দেয় সব কিছু। আগে যখন মুসলিমরা সংখ্যালঘু ছিল তখন অমুসলিম মেয়েদের ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তর করত কিন্তু এখন তার প্রয়োজন নাই। এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েকে সরাসরি তুলে নিয়ে, কোন মাদ্রাসাতে বেধেঁ আগে চলে ধর্ষণ, তারপর জোর করে নিকাহ্ করিয়ে, হিন্দু হলে গরুর গোস্ত খায়োনো হয়। তারপর প্রচার করে বিধর্মী হিন্দু মেয়েটা নিজের ইচ্ছায় মুসলিম হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!

মুসলমানদের এমন আচরণ, নির্যাতন করার কারণ হল ঐ অঞ্চলের অমুসলিমদের কে, সে স্থান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা। একসময় এলাকাটা যখন হিন্দু এবং অমুসলিম অধ্যুষিত ছিল তখন সেখানে বাম-মার্ক্সবাদ, কমিউনিস্ট, নাস্তিক্যবাদ আরো কত রকমের বাদীদের আনাগোন দেখা যেত। কিন্তু যখন থেকে সেখানে অমুসলিমদের সংখ্যা কমতে থাকল তখন থেকে সেখানে বাম-মার্ক্সবাদীদের, কমিনিষ্টদের প্রভাব কমতে থাকল। চাপাতির কোপে যত্রতত্র তারা হয় মরে অথবা ঐ অঞ্চল থেকে অন্য কোথাও পালায়! কিন্তু তারা কোথায় পালায়? তারা সেখানেই পালায় যেখানে অমুসলিম বেশি, হিন্দু বেশি আছে। কারণ তাদের মার্ক্সবাদী দোকানদারি অমুসলিম এলাকাতেই চলে এবং হিন্দুরাই এগুলা বেশি খায়। শুধু বামরা কেন? সর্ব ধর্ম সমন্বয়কারী, অবতার হিন্দু ধর্ম গুরুদের ও মুসলমান এলাকা থেকে পালিয়ে, হিন্দু এলাকাতে আশ্রয় নিতে হয়। তাদের মহান বাণী- “বুদ্ধ ঈশায় বিভেদ করিস, চৈতন্য রসূল কৃষ্ণে জীবোদ্ধারে হন আবির্ভাব, একই ওরা তাও জানিস নে! কৃষ্ণ রসূল যীশু আদি নররূপী ভগবান, তুমি যে তাদের মূর্ত প্রতীক, প্রেরিত বর্তমান।” এই ভাববিলাসী কথা বলে তারও তখন পিঠ বাঁচাতে পারে না, মুসলমান এলাকাতে এগুলা চলে না, হিন্দুদের এলাকায় এগুলা চলে।

আরব সাম্রাজ্যবাদীদের কৌশল

এভাবে আসাতে আসতে যখন মুসলিমদের জনসংখ্যা ৭০% হয়, এবার শুরু হয় সরাসরি জিহাদ, চাপাতির কোপ, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং ঐ অঞ্চলকে আলাদা করে মুসলিম রাষ্ট্রের দাবি, যেমন অতীতে এভাবে ভারতকে দুই ভাগ করে তৈরি করা হয়েছে পাকিস্থান। আর বর্তমানে “কাশ্মির” হচ্ছে তার জলজ্যান্ত উদাহারণ। এখন আর কাশ্মিরের মুসলিমদের কে মানবতা, সবার সমান অধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, সেক্যুলারিজম, গণতন্ত্রের কথা, বাম রাজনীতির কথা বলতে দেখা যায় না। এগুলা তারা সেখানেই বলে যেখান তারা সংখ্যায় কম।

আমার যদি সিরাতুন নবীর জীবনীর দিকে তাকায়; তবে দেখব তার সফলতাও এই প্রক্রিয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি যখন সংখ্যালঘু ছিলেন, তার অনুগামীর সংখ্যা যখন কম ছিল; তখন আল্লাহ তার উপর মাক্কি অর্থাৎ শান্তির আয়াত নাজিল করতে থাকেন। কিন্তু যেই তার অনুগামীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেল, তিনি সামরিক বাহিনী গঠন করলেন তখন থেকে আল্লাহ মাদানি আয়াত, অর্থাৎ কতল করার আয়াত নাজিল করতে শুরু করলেন। আল্লাহ এবং নবীর দেখানো কৌশল অনুসরণ করে মুসলিমরা তাদের আরব সাম্রাজ্যবাদের প্রসার করে চলেছে।

এই কৌশলে একসময় অমুসলিমদের রক্তের বন্য বয়ে, প্রতিষ্ঠা করে ইসলামিক রাষ্ট্র। যদি সেই নব্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রাষ্ট্রে; ইসলামের তলোয়ার থেকে কিছু অমুসলিম কোন ভাবে বাঁচে, তবে তাদের কেও বাধ্য হয়ে সেই ইসলামিক রাষ্ট্র থেকে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে পালাতে হয় অথবা ধর্মন্তরিত হতে হয়। যার উদাহরণ বাংলাদেশ ও পাকিস্থান।

পাকিস্থান, বাংলাদেশ, কাশ্মির আমাদের সামনে এমন জলজ্যান্ত উদাহরণ থাকার পরেও আপনি হয়তো আমার লেখার বিরোধিতা করতে পারেন, জবাবে আমি শুধু এইটুকু বলব পশ্চিম বঙ্গে মুসলমান জনসংখ্যা ৬০% হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। কিন্তু আপসোস যখন ভুল বুঝতে পারবেন তখন অনেক দেরী হয়ে যাবে।

লিখেছেনঃ আগন্তুক বন্ধু

No comments

Theme images by LordRunar. Powered by Blogger.