লাভ জিহাদের ফাঁদ!
এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার.... জষ্ঠিতে হল পরিচয়। অতঃপর ভালো ভালো রস্তোরাঁতে; দামি দামি খাবার আস্বাদন। কারণে অকারণে ফোন আলাপ, ফেইবুকে চেটিং আর দামি দামি উপহার প্রাপ্তি। আষাঢ়ের একদিন হঠাৎ হাসান (ছদ্মনাম) বললঃ আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি হিন্দু, আমি মুসলিম তাতে কি হয়েছে? প্রেম মানে না জাত আর কুল। দেখ! আমার কাছে ধর্ম সবই সমান, আমাদের বিয়ের পর তোমার ধর্ম তুমি পালন করবে, আমার ধর্ম আমি পালন করব। আমি কথা দিচ্ছি আমি কখনো তোমাকে, তোমার ধর্ম পালনে বাধা দিব না; তোমাকে ধর্ম বদলাতে হবে না।
সুস্মিতা(ছদ্মনাম) তো দামি দামি উপহার পেয়ে ইতিমধ্যেই হাসানের প্রতি দুর্বল। এখন সে মনে মনে ভাবছে, মুসলিম হলেও ছেলেটা কত ভাল, কত মহৎ, বড় মনের মানুষ। এবার.... তাদের কে আর ঠেকায় কে? মা-বাবার স্নেহ, মমতা, ধর্ম, সমাজ কোন কিছুই আর তাদের কে আটকিয়ে রাখতে পারবে না।
কবির ভাষায়....
ঐ দ্যাখো কয়েকটি অতিবাদী স্থির
অভিন্নকল্পনাবুদ্ধি যুবক-যুবতী হেঁটে যায়।
পরস্পরের সব ইচ্ছায় সহজে ওরা দিয়েছে সম্মতি।
ওরা আর তাকাবে না ফিরে!
ওরা একমত হবে, ওরা একমত হবে,
ওরা একমত হতে হতে কুতুবের সিঁড়ি
বেয়ে উর্ধ্বে উঠে যাবে, লাফ
দেবে শূন্যের শরীরে।
এভাবে দুজনে একমত হয়ে, একদিন মা-বাবাকে না জানিয়ে, মূলত হিন্দু মেয়েটির পরিবার কে না জানিয়ে গোপন অভিসারে চম্পট..... পালানোর আগে হাসান সুস্মিতাকে বলেছিল, আমার আর তোমার মা-বাবা কিছু দিন পর শান্ত হলে আমরা আবার ফিরে আসব; তারা উভয়ে আমাদের সম্পর্ক মেনে নিবে। ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর কোন বন্ধুর ঘরে কিংবা হোটেলে রাত্রি যাপন। হাসান তো কথায় দিয়েছে সে সুস্মিতাকে বিয়ে করবে তাহলে রাত্রি যাপন করতে আর অসুবিধা কোথায়? কিছু দিন কালক্ষেপণের পর সুস্মিতা বলল তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যদা দিয়ে ঘরে নিয়ে যেতে।
(সত্যি সুস্মিতা’রা কত বোকা হয়)
এখন হাসান জানাল, সে সুস্মিতার কথা তাঁর আব্বু-আম্মু কে জানিয়েছে; ওরা কোন হিন্দু মেয়েকে পুত্রবধু হিসাবে মেনে নিতে রাজি নয়। সুস্মিতাঃ কিন্তু তুমি তো বলেছিলে, আমাকে আমার ধর্ম ত্যাগ করতে হবে না। হাসানঃ হ্যাঁ বলেছিলাম, কিন্তু এখন.. আমার পরিবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে..... ইসলাম গ্রহণ না করলে তারা তোমাকে মেনে নেবে না! তাই তোমাকে অবশ্যই ইসলাম গ্রহণ করতেই হবে।
অগত্যা... সুস্মিতার ফিরে যাওয়ার আর কোনো রাস্তা নাই। কিন্তু সুস্মিতার তো এখন উভয় সংকট! সে যদি ইসলাম গ্রহণ না করে সে কি বাঁচতে পারবে? যেভাবে বাঁচতে পারে নি... কাবুলওয়ালার বাঙালি বউ, সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হয়তো তাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভিডিও গোপনে ধারণ করে রেখেছে, ইসলাম গ্রহণ না করলে ফেসবুকের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পরতে পারে।
আবার সে যদি ইসলাম গ্রহণ করে তবুও কি সে বাঁচতে পারবে? যেমন বাঁচতে পার নি বগুড়া জেলার নয়ন চন্দ্রের মেয়ে রাণী। এভাবে তো অসংখ্যা রাণী, পার্বতী, জবা, প্রিয়ারা মরেছে; সোমা বিশ্বাস কে তো গনধর্ষন করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কিন্তু যেহেতু তাঁর সব কিছু শেষ হয়ে গেছে আর ঘর থেকে পালিয়ে এসেছে, এখন মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোন পথ নাই সুস্মিতার। অতঃপর একদিন পত্রিকায় খবর এলো আমি সুস্মিতা চক্রবর্তী, পিতার শ্রী অমুক, মাতা তমুক নিজের ইচ্ছাতে ইসলামের মহান আদর্শে আকৃষ্ঠ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ! এরপর যা হয় আরকি এক-দুই বছর পর আরো একটি খবর এল সুস্মিতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদি সুস্মিতারা কোন কারণে বেঁচেও যায় তুবুও তাঁরা আজীবন তুষের আগুনে জ্বলে, নরক যন্ত্রণা ভোগ করে।
যাহোক! প্রেমের আলাপ অনেক হল, এবার বুদ্ধির নখে শান দি, তাত্ত্বিক আলোচনা করি। কোন মুসলিম ছেলে যখন কোন হিন্দু মেয়েকে বলে...আমার কাছে ধর্ম সবই সমান, আমাদের বিয়ের পর তোমার ধর্ম তুমি পালন করবে, আমার ধর্ম আমি পালন করব। আমি কথা দিচ্ছি আমি কখনো তোমাকে, তোমার ধর্ম পালনে বাধা দিব না; তোমাকে ধর্ম বদলাতে হবে না।
তখন হিন্দু মেয়েটির অবশ্যই নিজেকে প্রশ্ন করা উচিৎ
ঐ মুসলিম ছেলেটির বক্তব্যের সত্যতা কতটুকু?
সে কি সত্য বলছে?
ইসলাম কি এমন মহৎ কে সমর্থন করে?
মুসলমান ছেলের জন্য অমুসলমান হিন্দু নারী কি বৈধ...???
উত্তরঃ ইসলামে মুসলিমদের কে মুসলিম ব্যতীত অমুসলিমদের মধ্যে একমাত্র আহলে কিতাবের নারীদের বিয়ে করা বৈধ করা হয়েছে। কোরানে বলা হয়েছে, ‘.....মুমিন সতীসাধ্বী নারী ও আহলে কিতাবের সতীসাধ্বী নারী তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো...।(সূরা: মায়েদা, আয়াত:৫)
আহলে কিতাব ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক বৈধ নয়। আহলে কিতাব কি বা কারা? আহলে কিতাব হচ্ছে তৌরাত, জবুর, ইঞ্জিল; এগুলা আসমানি কিতাব এবং এগুলা যারা অনুসরণ করে তারাই অর্থাৎ ইহুদী, খ্রিস্টানরা হচ্ছে আহলে কিতাব। তাদের নারীকে নিকাহ করা মুসলমানদের জন্য বৈধ ।
কিন্তু প্রচলিত যে হিন্দু, বৌদ্ধ, বাহায়ি, শিখ ও কনফুসীয় ধর্ম সমূহ আসমানি ধর্ম হওয়ার বিষয়টি অকাট্যভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এসব ধর্মের অনুসারীরা আহলে কিতাব হিসেবে গণ্য হবে না। (ভাল করে বুঝে নিন।) তাই তাদের সঙ্গে মুসলিম নারী ও পুরুষের কোনো ধরনের বিয়ে বৈধ নয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ ইরশাদ করেন, “ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা মুশরিক(অর্থাৎ মূর্তিপূজারি বা প্রতিমা পূজারি) নারীকে বিয়ে কোরো না, যদিও মুশরিক নারী তোমাদের মুগ্ধ করে...। ঈমান(অর্থাৎ বিশ্বাস মানে ইসলামের উপরে বিশ্বাস) না আনা পর্যন্ত তোমরা মুশরিক পুরুষের সঙ্গে(তোমাদের নারীদের) বিয়ে দিয়ো না, যদিও মুশরিক পুরুষ তোমাদের মুগ্ধ করে...।
(সূরা: বাকারা, আয়াত:২২১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা কাফির(অর্থাৎ অবিশ্বাসী মানে যারা ইসলামকে অবিশ্বাস করে) নারীদের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না...। (সূরা মুমতাহিনা, আয়াত:১০)
কুয়েতের ওয়াকফ্ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ইসলামী আইন বিশ্বকোষে রয়েছে, ‘মুসলমানের জন্য এমন নারীকে বিবাহ করা হারাম, যার কোনো কিতাব নেই (অর্থাৎ যে কোনো আসমানি গ্রন্থে বিশ্বাসী নয়)। (আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যাহ: ৩৫/২৬)
আসমানি গ্রন্থ হচ্ছে তৌরাত, জবুর, ইঞ্জিল এবং কোরান; এগুলাতে যারা বিশ্বাসী নয়; অর্থাৎ বেদ, গীতা এবং হিন্দুদের অনান্য কথিত ধর্মগ্রন্থ, সহ ত্রিপিটক, ধর্মপদ, গুরুগ্রন্থ ইত্যাদি এগুলা নিঃসন্দেহে আসমানি কিতাব নয় তাই এগুলা যারা বিশ্বাস করে সেই সব নারীদের কেও বিবাহ করা মুসলিম পুরুষের জন্য সম্পূর্ণ হারাম অর্থাৎ বৈধ নয়।
মূলত একটা মুসলিম যুবক যখন একটা অমুসলিম অথবা হিন্দু নারীকে বিয়ে করে তার বিয়ে করার উদ্দেশ্যই হল..... যার উত্তরে যেমন- ইমাম আলাউদ্দিন কাসানি(রহ.) লিখেছেন, “অমুসলিম নারীদের বিয়ে করা বৈধ করা হয়েছে ইসলাম গ্রহণের উদ্দেশ্যে।”
আর একটা বিষয়.... ইহুদী, খ্রিস্টান আহলে কিতাবের নারীদের বিয়ে করা মুসলমানদের জন্য বৈধ বটে; কিন্তু আহলে কিতাব কোনো পুরুষের সঙ্গে মুসলিম নারীদের বিয়ে বৈধ নয়।
মুসলিম নারীদের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বী পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এ প্রসঙ্গে এক আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা! যখন তোমাদের কাছে মুমিন নারীরা হিজরত করে আসে, তখন তোমরা তাদের পরীক্ষা করে নাও, তাদের ঈমান সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন। অতঃপর যদি তাদের মুমিন বলে জানতে পারো, তাহলে তাদের কাফিরদের কাছে ফিরিয়ে দিয়ো না। মুমিন নারীরা কাফিরদের জন্য হালাল নয়। আর কাফিররাও তাদের জন্য হালাল নয়...। (সূরা: মুমতাহিনা, আয়াত:১০)
ইমাম বুখারি(রহ.)-এর শিক্ষক ইমাম আবদুর রাজ্জাক(রহ.) তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন, আবু জুবায়ের(রা.) বলেন, আমি জাবের(রা.)-কে বলতে শুনেছি, আহলে কিতাবের (ইহুদী, খ্রিস্টান) নারীরা আমাদের (মুসলমানদের) জন্য হালাল। কিন্তু আমাদের নারীরা তাদের জন্য হারাম।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক:৬/৪৩)
এ বিষয়ে খলিফা ওমর(রা.)- কর্মপন্থা কী ছিল- সে সম্পর্কে জায়েদ বিন ওয়াহাব(রা.) বলেন, ‘ওমর(রা.) এই মর্মে পত্র পাঠিয়েছেন যে মুসলিম পুরুষ খ্রিস্টান নারীকে বিবাহ করতে পারবে। কিন্তু কোনো খ্রিস্টান পুরুষ কোনো মুসলিম নারীকে বিবাহ করতে পারবে না।’(কানযুলউম্মাল: ১৬/৫৪৮)
ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নারীদের মুসলিম পুরুষরা বিয়ে করতে পারবে কিন্তু তা শর্তসাপেক্ষে যেমন সেই নারী ইসলামবিদ্বেষী হতে পারবে না।
হিন্দুরা ভাল করে বুঝে নিন.... যখন কোনো হিন্দু পুরুষ কোনো মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেম বা বিবাহ করে তখন মুসলিমরা সেই মুসলিম মেয়েকে পিটায় কেন? বা সেই হিন্দু ছেলেটিকে সুযোগ মত পেলে পিটিয়ে কেন হত্যা করে? তার কারণ হচ্ছে.... ইহুদি, খ্রিস্টানদের কে মুসলিমরা আসমানি কিতাবের অনুসারি বলে মানে, তা শর্তেও মুসলমান নারীদেরকে ইহুদি, খ্রিস্টান পুরুষের সাথে বিবাহ করার বৈধতা দেয় না। তাহলে যেখানে ইহুদি, খ্রিস্টানদের পুরুষের সাথে বিয়ে করার অনুমতি দেয় না সেখানে হিন্দু পুরুষের সাথে মুসলিম মেয়ের বিয়েকে মুসলিমরা কিভাবে মেনে নিতে পারে???
এখন কথা হচ্ছে.... যদি কোনো মুসলিম নারী যদি ইতিপূর্বে অন্য ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়ে থাকে, তার করণীয় কী? এর জবাব হলো, হয়তো স্বামীকে মুসলিম বানিয়ে নতুনভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে। সেটা সম্ভব না হলে অতিদ্রুত তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। (আপকে মাসয়েল আওর উনকা হল: ৬/১৪৩)
আর ইসলাম অনুমোদিত নয়, এমন বিয়ের মাধ্যমে সন্তান জন্ম নিলে সন্তান ইসলামের পরিচয়ই বহন করবে। তবে শর্ত হলো সন্তান যদি নাবালক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়, তাহলেই সে মুসলিম হিসেবে গণ্য হবে। এ বিষয়ে ইসলামী আইনের গ্রন্থ “হেদায়া’য় রয়েছে, ‘স্বামী ও স্ত্রীর কোনো একজন যদি মুসলিম হয়, তাহলে সন্তান তাঁর ধর্ম-অর্থাৎ ইসলাম ধর্মাবলম্বী বলে গণ্য হবে।(হেদায়া:২/৩৪৬)
সুতরাং এ আলোচনা থেকে বুঝা গেল-
১) ইহুদি-খ্রিস্টান নারীর সঙ্গে মুসলিম পুরুষের বিবাহ শর্তসাপেক্ষে বৈধ। ২) মুসলিম নারীকে অন্য কোনো ধর্মাবলম্বী পুরুষের কাছে বিয়ে দেওয়া কোনো অবস্থায়ই বৈধ নয়।
৩) ইহুদি-খ্রিস্টান ছাড়া অন্য ধর্মারবম্বী যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, বাহায়ি, শিখ ইত্যাদির অনুসারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ নয়।
তাহলে যখন কোনো মুসলিম, কোনো হিন্দু মেয়ে কে বলে....
“আমার কাছে ধর্ম সবই সমান, আমাদের বিয়ের পর তোমার ধর্ম তুমি পালন করবে, আমার ধর্ম আমি পালন করব। আমি কথা দিচ্ছি আমি কখনো তোমাকে, তোমার ধর্ম পালনে বাধা দিব না; তোমাকে ধর্ম বদলাতে হবে না।”
এই ধরনের কথা গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন; এই কথা গুলো ওরা বলে ধোঁকা দেওয়ার জন্য, প্রতারণা করার জন্য; এগুলা হচ্ছে ওদের মিথ্যা আশ্বাস। হিন্দু মেয়েরা আসা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন....। যদি বুঝে থাকেন তবে অনর্থক বিধর্মীদের পাতানো ফাঁদে পা দিনে নিজের জীবনকে নরক বানিয়ে, যন্ত্রণা ভোগ করবেন না।
বিঃ দ্রঃ উপরের বিশ্লেষণ আমি নিজের মনগড়া ভাবে করিনি, মাওলানা কাসেম শরীফ-এর লেখা, কালের কণ্ঠ পত্রিকাতে প্রকাশিত একটি লেখা থেকে এই তথ্যপ্রমাণ গুলো নেয়া হয়েছে।
1 comment
সনাতন ধর্ম মতে কি অন্য ধর্মের কোন নারী পুরূষকে বিবাহ করা বৈধ্যোতা আছে কি? আর টাইটেলটা লাভ জিহাদ না বলে আন্য কিছু বলা ভালো। জিহাদ মানেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো। এখানে যে সব ছেলে এসব করে তারা তো ইসলাম মানে না। সুতরাং তারা মুসলিমও হতে পারে না।
Post a Comment